ডেস্ক রিপোর্ট: ‘স্মার্ট হবে স্থানীয় সরকার, নিশ্চিত করবে সেবার অধিকার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) উদ্যোগে খুলনায় ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’ পালিত হয়েছে।
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচেতনতামূলক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে র্যালির উদ্বোধন করেন। র্যালিটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরভবনে এসে শেষ হয়।
এ ছাড়া দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে নগর ভবন ও শহীদ হাদিস পার্ক আলোকসজ্জিত করাসহ নগরীতে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা, নগর ভবনের নিচ তলায় স্বাস্থ্য ও কঞ্জারভেন্সি বিভাগ এবং কর আদায় ও লাইসেন্স শাখা কর্তৃক তাৎক্ষণিক সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে পৃথক চারটি স্টল খোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের স্টলে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সম্মুখসারির কর্মীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়াসহ কর আদায় শাখার স্টলে বকেয়া পৌরকর পরিশোধের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে সারচার্জ মওকুফের সুযোগ রাখা হয়েছে এবং লাইসেন্স শাখার স্টলে চলতি অর্থবছরের ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে সারচার্জ মওকুফের সুযোগ রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর জনমুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে এবং গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখতে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জাতীয়ভাবে দিবসটি পালন উপলক্ষে দেশব্যাপী গৃহীত কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সার্বিকভাবে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’ পালনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো তৃণমূল পর্যায়ের জনসাধারণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা, কর্মতৎপরতা, গুরুত্ব ও সর্বোপরি সমতা প্রকাশই দিবসটি পালনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
সিটি মেয়রের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত র্যালিতে কেসিসির মেয়র প্যানেলের সদস্য, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও সর্বস্তরের কর্মচারী-শ্রমিকরা অংশগ্রহণ করেন।